Home এইচডি টিভি কেনার পূর্বে জেনে নিন এইচডি টিভি কেনার পূর্বে জেনে নিন
এইচডি টিভি কেনার পূর্বে জেনে নিন
Md Mahin uddin 7:20:00 PM 0
এইচডি টিভি কেনার পূর্বে জেনে নিন??
একটি টিভি আপনার বাড়িতে বিনোদনের মাত্রা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু বাজারে এত এত টিভির মধ্যে আপনার মনের মতো টিভিটি খোঁজে পেতে হলে আপনার এইচডি সম্পর্কে কিছু ধারনা থাকা আবশ্যক। নিচে এইচডি টিভি সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হল যা আপনার কাঙ্ক্ষিত টিভিটি খোঁজে পেতে সহায়ক হবে।
এলসিডি, এলইডি, প্লাজমা এবং ওএলইডি টিভির মধ্যে পার্থক্য কি?
প্লাজমাঃ প্লাজমা হল প্রথম আবিষ্কৃত এইচডি প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তিতে একটি ইমেজ এর প্রতিটি ক্ষুদ্র অংশকে জেনন এবং নিয়ন গ্যাস দ্বারা পরিপূর্ণ করা হয়। এই প্রযুক্তি অনেক উন্নতমানের রং এবং উজ্জ্বল আলো প্রদান করে। যখন আপনি প্লাজমা টিভিতে কোনো এইচডি মুভি দেখবেন তখন এটি আপনাকে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। এর প্রতিটি ক্ষুদ্র আলো আপনাকে প্রাকৃতিক একটি আমেজ প্রদান করবে। একটি সত্যিকারের সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
এলসিডিঃ এলসিডি টিভি সত্যিকার অর্থেই যেকোনো পরিবেশে উজ্জ্বল আলোকিত ছবি প্রদান করে। একটি এলসিডি টিভি প্রতিটি ছবিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তরল স্বচ্ছ আলো দ্বারা পরিপূর্ণ করে তুলে। এলসিডি টিভি সবকিছুর জন্য একদম উপযুক্ত। যেমন গেমিং, মুভি দেখা ইত্যাদি। এলসিডি টিভি প্রতিটি ছবিকে উপযুক্ত মান প্রদান করে থাকে।
এলইডিঃ এলইডি টিভি এলসিডি টিভির মতই। তবে এলইডি টিভিতে "লাইট এমিটিং ডায়ডস" বা এলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যা পর্দাকে বেশি আলোকিত করে থাকে। এলইডি টিভি এলসিডি টিভির তুলনায় স্লিম এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এলইডি টিভি এলসিডি টিভির তুলনায় অধিকতর উজ্জ্বল আলো প্রদান করে। এলইডি টিভি একটি নির্দিষ্ট অংশকে কম আলোকিত করতে পারে যেখানে আলো কম হওয়া প্রয়োজন।
ওএলইডিঃ ওএলইডি হল সর্বশেষ আবিষ্কৃত এইচডি প্রযুক্তি যা অধিকতর উজ্জ্বল আলোর সাহায্যে বাস্তবধর্মী ছবি উৎপন্ন করে। এটি এলইডি টিভির মতই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ওএলইডি প্রযুক্তিতে কিছু কার্বনজাত উপাদান থাকে। যখন এর মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু হয় তখন এগুলো আলোকিত হয়ে উঠে। ওএলইডি প্রযুক্তিতে প্রতিটি পিক্সেল বন্ধ করে দেয়া যায়। এতে পুরোপুরি কালো রং পাওয়া যায়। যার ফলে এর কন্ট্রাস্ট রেশিও অনেক বেশি।
আপনার রুমের জন্য সঠিক সাইজের টিভি কিভাবে নির্বাচন করবেন?
টিভির সঠিক সাইজ নির্ভর করে আপনার রুমের সাইজ এবং দেখার দূরত্বের উপর। রুম এর তুলনায় বড় টিভি ভাল নয়। আবার আপনার টিভি যদি রুম এর তুলনায় অধিক ছোট হয়, তাহলে আপনার এইচডি দেখে ভাল অভিজ্ঞতা হবে না। নিচে বিভিন্ন সাইজ এর রুমের জন্য সঠিক মাপের টিভি নির্বাচন করার পদ্ধতি দেওয়া হলঃ
টিভির সাইজ ৭২০পি এর জন্য দুরত্ব ১০৮০পি এর জন্য দুরত্ব
৪২" ৮ ফুট ৫.৫ ফুট
৫০" ১০ ফুট ৬.৫ ফুট
৫৫" ১১.৫ ফুট ৭.৫ ফুট
৬০" ১২ ফুট ৮ ফুট
৬৫" ১৩ ফুট ৮.৫ ফুট
যদি আপনি আপনার রুম এর জন্য সঠিক মাপের টিভি নির্বাচন করতে পারেন তাহলে এইচডি টিভি দেখে নিঃসন্দেহে আপনার একটি ভাল অভিজ্ঞতা হবে।
৭২০পি, ১০৮০পি এবং ৪কে এর মধ্যে পার্থক্য কি?
এইচডি টিভির সবকিছুই হল রেজুলেসন এর উপর। যত বেশি রেজুলেসন হবে ততো ভালো মানের ছবি উৎপন্ন হবে। ৩ ধরনের রেজুলেসন এর এইচ.ডি টিভি পাওয়া যায়। ৭২০পি, ১০৮০পি এবং ৪কে (720p, 1080p, 4K) এগুলো নির্দিষ্ট পরিমানের পিক্সেল বহন করে। পিক্সেল যত বেশি হবে, ছবির মান ততো ভালো আসবে।
রেজুলেসন পিক্সেল
৭২০পি ১২৮০ x ৭২০
ফুল এইচডি ১০৮০পি ১৯২০ x ১০৮০
৪কে ৩৮৪০ x ২১৬০
৪কে হল সর্বশেষ আবিষ্কৃত ডিসপ্লে রেজুলেসন যাকে বলা হয় ফুল এইচডি। এটি আপনাকে 3D মানের ছবি প্রদান করবে।
রিফ্রেশ রেট কি?
রিফ্রেশ রেট সাধারণত এলসিডি এবং এলইডি টিভিতে দেয়া হয়। রিফ্রেশ রেট হল প্রতি সেকেন্ডে কতগুলো ইমেজ চালনা করতে সক্ষম বা দেখাতে সক্ষম তার পরিমান। সুতরাং ৬০এইচজেড ফ্রেম রেট মানে প্রতি সেকেন্ডে ৬০টি ইমেজ দেখানোকে বোঝানো হয়। এটি তখনই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যখন আপনি কোনও ফাস্ট অ্যাকশান দেখেন। যেমন গেমস, অথবা অ্যাকশান মুভি।
প্লাজমা প্রযুক্তিতে নিখুত মোশন আছে, কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত পরিমান রিফ্রেশ রেট নেই।
থ্রিডি টিভিঃ থ্রিডি টিভি দেখে আপনার এমন একটি অভিজ্ঞতা হবে যা কেবলমাত্র আপনি পূর্বে সিনেমা হলে পেতেন। থ্রিডি টিভিতে আপনি ঘরে বসেই থ্রিডি মানের মুভি বা গেমিং করতে পারবেন। থ্রিডি প্রযুক্তি এখন আপনার টিভির পর্দাতেই উপভোগ করতে পারবেন। সেখানে এটি টুডি কন্টেন্টেরও স্বচ্ছতা বাড়িয়ে দিতে পারবে।
এখানে ২ ধরনের থ্রিডি প্রযুক্তি পাওয়া যায়। অ্যাক্টিভ এবং প্যাসিভ। অ্যাক্টিভ প্রযুক্তিতে ব্যাটারি পাওয়ার সম্বলিত থ্রিডি গ্লাস ব্যাবহার করা হয়। যা টিভির সাথে সমন্বিত হয়ে থ্রিডি মাত্রার ছবি তৈরি করে থাকে। প্যাসিভ থ্রিডি ও একই ভাবে কাজ করে। তবে এখানে কম মুল্যের গ্লাস ব্যাবহার করা হয়। অ্যাক্টিভ থ্রিডিতে হাই-রেজুলেসন ছবি তৈরি হয় যেখানে কম মুল্যে প্যাসিভ থ্রিডি ব্যাবহার করা যায়।
স্মার্ট টিভিঃ স্মার্ট টিভি বলতে ওয়াই-ফাই সংযুক্ত টিভিকে বোঝানো হয়। যেখানে আপনি সহজেই ইন্টারনেট এর সাথে যুক্ত হতে পারবেন। ওয়েব ব্রাউজ করতে পারবেন, ইউটিউব এ ভিডিও দেখতে পারবেন কিংবা আপনার স্মার্টফোন অথবা পিসির সাথে আপনার টিভিকে সংযুক্ত করতে পারবেন।
এইচডিএমআই ( HDMI ) ইনপুটঃ এইচডিএমআই পোর্ট আপনার টিভিকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির সঙ্গে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন। যেমন এ/ভি রিসিভার, ব্লু-রে প্লেয়ার অথবা গেমিং কনসোল। টিভি কেনার সময় নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার টিভিতে পর্যাপ্ত পরিমান এইচডিএমআই পোর্ট আছে। এইচডিএমআই পোর্ট ব্যাবহার করার জন্য আপনার এইচডিএমআই ক্যাবলও দরকার। এইচডিএমআই 2.0 হল সর্বশেষ আবিষ্কৃত এইচডিএমআই প্রযুক্তি। যা ৪কে (4K) ব্যান্ডউইথ ও সাপোর্ট করে।
ইউএসবি মিডিয়া পোর্টঃ ইউএসবি মিডিয়া পোর্ট ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ থেকে ডাটা গ্রহণ নিশ্চিত করে। এক্ষেত্রে আপনি ইউএসবি পোর্ট এ প্লাগ-ইন এর সাহায্যে ডিজিটাল মিউজিক, পিকচার, এবং ভিডিও আপনার টিভিতে উপভোগ করতে পারবেন।
এইচডি কম্পনেন্ট ইনপুটঃ এইচডি কম্পনেন্ট ইনপুট হল আপনার টিভিকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির সঙ্গে সংযুক্ত করার আরেকটি মাধ্যম যা এইচডিএমআই আবিষ্কৃত হওয়ার পূর্বে ব্যাবহার করা হত।
এসভিডিও এবং আরসিএ ইনপুটঃ ডিভিডি অথবা ভিসিআরকে আপনার টিভির সাথে সংযুক্ত করার জন্য এসভিডিও এবং আরসিএ পোর্ট প্রয়োজন।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
Post a Comment